কিভাবে ফেসবুক আইডি হ্যাক করা হয় ? (আপডেট ২০২৫) সাবধান! ☠️

এই পোস্টে আমরা জানব কিভাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে হয় । ফেসবুক আজ একটি বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে, আজ প্রতিটি শিশু ফেসবুক ব্যবহার করে, যার ফোন আছে, তার মোবাইলে ফেসবুক আছে। ফেসবুক আইডি হ্যাক করা এত সহজ নয় কারণ যেকোন কোম্পানিই তার নিরাপত্তার বিষয়টি আগে খেয়াল রাখে, কোন কোম্পানি যদি ইউজারের জন্য নিরাপত্তা তৈরি করতে না পারে, তাহলে কেন মানুষ তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করবে? ফেসবুক হচ্ছে একটি জনপ্রিয় এবং বৃহত্তম ফেসবুক একটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম, এই কারণে ফেসবুক তার প্ল্যাটফর্মকে হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে, তাই এখন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে ফেসবুক হ্যাক করা এত সহজ নয়, দুনিয়ার যেকোনো কাজ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়, আমরাও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারি, শুধু এর জন্য আপনার ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।

বন্ধুরা ফেসবুক আইডি অনেক উপায়ে হ্যাক করা যেতে পারে, এর জন্য সিংগেল উপায় নেই, এই ব্লগপোস্ট সেই সমস্ত উপায় সম্পর্কে গভীরভাবে জানব, যে উপায়ে আমরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারি। হ্যাক করা শিখবে, সেই সমস্ত পদ্ধতির তালিকা নীচে দেওয়া হল।

➤ Phishing মেথড
পিশিং (অনেকে ফিশিং নামে চিনেন) হচ্ছে কারো আইডি হ্যাক করার প্রধাণ অস্ত্র। যা ১টি ফাঁদ! অনেকেই ভাবছেন পিশিং এর বেপারে সবাই এখন জানে, এই ফাঁদে কেউ আর পা দেয় না। কিন্তু না, ৯৫% আইডি হ্যাক হয় পিশিং এর মাধ্যমে। ‘১টা পিশিং পেইজ বানিয়ে লিংক পাঠিয়ে দিলো, আর ঐ লিংক এ ক্লিক করে ইমেইল পাসওয়ার্ড দিলেই আইডি হ্যাকড!’ শুধু এটাই পিশিং না। পিশিং এর অনেক দিক আছে। এখন নোংরা হ্যাকার রা বিভিন্ন ভাবে ফাঁদ তৈরি করছে।

➤ Bruteforce attack মেথড
আপনি কারো কম্পিউটারে/ যে কোন সিস্টেমে বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে অথবা ওয়েবসাইটে লগইন করতে গেলেন। তার পাসওয়ার্ড আপনি জানেন না। তাহলে সাধারনত কি করেন? অনুমান করে একটি পাসওয়ার্ড লিখে দেন। এটি লগইন না হলে কি করেন? আরেকটা দেন। তারপর আরেকটা। এই এটা কি ম্যানুয়ালি করতে গেলে অনেক সময় লাগে তাই কোন একটি সফটওয়্যার বিভিন্ন কম্বিনেশনের পাসওয়ার্ড সার্ভারে পুশ করতে থাকে এবং যেকোনো একটি মিলিয়ে যায় এবং আক্রমনকারী সিস্টেমে অ্যাক্সেস পেয়ে যায়।

➤ Keylogger মেথড
প্রোগ্রামার স্টাইলে ভারি ভারি কথা না বলে সহজ বাংলায় বললে কি লগার হচ্ছে কি বোর্ড এর কি লগ করার টুলস। অর্থাৎ আপনার ভিক্টিম তার মোবাইলে বা পিসিতে যাই টাইপ করবে তার লগই আপনার মেইলে চলে আসবে এমন হ্যাকিং অ্যাপস বা সফটওয়্যার এর নাম হইলো কি লগার||

➤ Spy software মেথড
স্পাইওয়্যার এর সবথেকে খারাপ বা ভয়ংকর দিক হল এটা আপনার কম্পিউটার এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। আপনার পিসি তে অযাচিত প্রোগ্রাম সেট করে দিবে যেটা আপনার জন্য অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। এটা আপনাকে এমন কিছু খারাপ সাইট এ নিয়ে যাবে যেখানে আপনি যেতে চান না এটা আপনার জন্য লজ্জাজনক বা ক্ষতিকর হতে পারে। এটা আপনার ইম্পরট্যান্ট তথ্য যেমন ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড এর তথ্য হাতিয়ে নিয়ে বিপদে ফেলতে পারে। যখন আপনি ফ্রী সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন তখন অহেতুক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম কম্পিউটার সিস্টেম এ ইন্সটল করে দিবে এবং সিস্টেম থেকে ইম্পরট্যান্ট প্রোগ্রাম ডিলিট করে দিবে। 

➤ USB attack মেথড
ইউএসবি ড্রাইভে কি এমন থাকে যেটা কানেক্ট হওয়ার সাথে সাথে অটোমেটিক কাজ করা শুরু করে দেয়? আসলে হ্যাকার প্রথমে একটি ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রাম বানায় যেটা কোনো কম্পিউটার থেকে ওপেন করলেই সেটা ইনফেক্টেড হয়ে যাবে। তারপর সে আরও কিছু প্রোগ্রাম বানায় যার দ্বারা ঐ ম্যালিসিয়াস প্রোগ্রামটি অটো রান হবে। মানে ম্যানুয়ালি ক্লিক করতে হবে না। তারপর হ্যাকার সেটা ইউএসবি ড্রাইভে কপি করে নেয় এবং সেই ইউএসবি ড্রাইভ’টি কানেক্ট করার সাথে সাথে ভেতরে থাকা প্রোগ্রাম’টি যেন এক্সিকিউট হয় সেভাবে সেটাকে প্রস্তুত করে। 

➤ DNS spoofing মেথড
এটি এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে ভিক্টিম মনে করবে সে তার পিসির ব্যাপারে কোন প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছে কিন্তু আসলে যা হবে একটি ফাঁদ। আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট এ যাই তখন তার DNS সার্ভার আমাদের আইপি কে ট্র্যাক করে এরপর সাইট এর মূল পেযে নিয়ে যায়। কিন্তু DNS  সার্ভার যদি সার্ভারেই না থাকে !!!! মানে এটি যদি হ্যাক হয় তাহলে আপনার আইপি কে আমি যেখানে নিয়ে যাব আপনি সেখানে যেতেই বাধ্য।
DNS অ্যাটাক করার জন্য সার্ভার সফটওয়্যার এ আক্রমণকারী কিছু flaw বা ভুল পরিসংখ্যান দেখায়। তখন যদি সার্ভার এর নিরাপত্তা দুরবল হয় তখন সে সেগুলকে আসল মনে করে এবং কাঙ্খিত সাইট এ নিয়ে যায়।  হ্যাক এর যে সাইট প্রভাইড করে তার মাধ্যমে সে ভাইরাস বা স্প্যাম যে কোন কিছুই ছড়াতে পারে।  আপনি যদি এ ধরনের কোন সাইট থেকে কোন কিছু ডাউনলোড করেন। দেখবেন ডাউনলোড বন্ধ ক্রার পর বারবার সেটি ডাউনলোড হবার চেষ্টা করছে । এটি সাধারনত চার ভাবে হয়।

>INTERNET  SPOOFING
>ITHERNET SPOOFING
>PROXY SERVER DNS POISIONING
>DNS CACHE

সতর্কীকরণ – কারো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা সম্পূর্ণ বেআইনি, তাই এটিকে কোনো ভুল উপায়ে ব্যবহার করবেন না কারণ এখানে দেওয়া জ্ঞান শুধুমাত্র শিক্ষার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে যাতে আপনি হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে পারেন যদি আপনি এই ব্লগপোস্ট পড়ার পরে, আপনি যদি কারো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেন , তাহলে এর জন্য জেল হতে পারে এবং আপনি এর জন্য দায়ী থাকবেন, তাই হ্যাকিং এর অপব্যবহার করবেন না। 

আপনি যদি এই টেকনিকগুলো শিখতে চান এবং এর পাশাপাশি  ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখতে চান তাহলে প্রথম কমেন্ট এ দেওয়া কোর্স লিংক ফলো করুন,🥰

6
2 replies