টি-শার্ট প্রিন্টিং

টি-শার্ট প্রিন্টিং বিভিন্ন ধরণের পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়। নিচে প্রিন্টিং পদ্ধতিগুলো পয়েন্ট আকারে গুছিয়ে উল্লেখ করা হলো:

১. স্ক্রিন প্রিন্টিং (Screen Printing) সবচেয়ে প্রচলিত এবং মানসম্মত প্রিন্টিং পদ্ধতি। টেকসই এবং উজ্জ্বল রঙের জন্য জনপ্রিয়। বড় পরিমাণে প্রিন্টিংয়ের জন্য উপযুক্ত।

২. হিট ট্রান্সফার প্রিন্টিং (Heat Transfer Printing) ডিজাইনটি বিশেষ কাগজে প্রিন্ট করে তাপের মাধ্যমে টি-শার্টে স্থানান্তর করা হয়। ছোট পরিমাণ প্রিন্টিং বা কাস্টম ডিজাইনের জন্য ভালো। কিছুটা সময়সাপেক্ষ এবং কম টেকসই।

৩. ডাইরেক্ট-টু-গার্মেন্ট (DTG) প্রিন্টিং সরাসরি টি-শার্টের ওপর ডিজাইন প্রিন্ট করা হয়। জটিল এবং রঙিন ডিজাইনের জন্য উপযুক্ত তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল।

৪. সাবলিমেশন প্রিন্টিং (Sublimation Printing) সাধারণত পলিয়েস্টার কাপড়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফোটোরিয়ালিস্টিক ডিজাইন তৈরি করতে সক্ষম। প্রিন্ট দীর্ঘস্থায়ী এবং ফেইড হয় না।

৫. ভিনাইল কাট প্রিন্টিং (Vinyl Cut Printing) ভিনাইল শীট কেটে তাপের মাধ্যমে টি-শার্টে স্থাপন করা হয়। সলিড কালারের ডিজাইনের জন্য ভালো। টেকসই এবং উচ্চমানের ফিনিশ।

৬. ফ্লক প্রিন্টিং (Flock Printing) প্রিন্টের জন্য ভেলভেটি টেক্সচার ব্যবহার করা হয় আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ লুক দেয়। বিশেষ ফ্যাশনেবল ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত হয়।

৭. এম্ব্রয়ডারি প্রিন্টিং (Embroidery Printing) প্রিন্টের পরিবর্তে সেলাই করা হয়। কর্পোরেট বা ব্র্যান্ডেড টি-শার্টের জন্য জনপ্রিয়। অত্যন্ত টেকসই এবং প্রিমিয়াম মানের।

৮. ফ্লেক্সোগ্রাফি (Flexography) রাবার প্লেট ব্যবহার করে প্রিন্টিং। সরল ডিজাইন এবং টেক্সটের জন্য উপযুক্ত।

৯. ডিজিটাল প্রিন্টিং (Digital Printing) ডিজাইন সরাসরি প্রিন্ট করা হয়। দ্রুত এবং ছোট পরিমাণ প্রিন্টের জন্য আদর্শ। খরচ বেশি হলেও মান খুব ভালো।

১০. এয়ার ব্রাশ প্রিন্টিং (Airbrush Printing) হাতে আঁকা বা স্প্রে পেইন্টের মাধ্যমে প্রিন্ট করা হয়। কাস্টমাইজড এবং ইউনিক ডিজাইনের জন্য উপযুক্ত।

১১. ফয়েল প্রিন্টিং (Foil Printing) মেটালিক এবং চকচকে প্রিন্ট তৈরি করা হয়। স্টাইলিশ এবং গ্ল্যামারাস ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত।

এইসব পদ্ধতি নির্ভর করে টি-শার্টের কাপড়ের ধরন, ডিজাইনের জটিলতা এবং বাজেটের ওপর।

5